মেয়েদের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হলে কী করবেন

প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া বা চুলকানির মতো অস্বস্তি মেয়েদের মধ্যে অনেক সাধারণ একটি সমস্যা। এটি ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI), যৌন সংক্রমণ বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। দ্রুত সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি যাতে সমস্যা জটিল আকার ধারণ না করে। নিচে কিছু কার্যকর পরামর্শ ও করণীয় তুলে ধরা হলো।

মেয়েদের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার সমাধান

১. পর্যাপ্ত পানি পান করুন

ইউরিনারি ইনফেকশন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। এটি প্রস্রাবের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া বের করে দেয় এবং জ্বালাপোড়া কমায়।

২. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন

মূত্রনালী ও যৌনাঙ্গ সবসময় পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন। প্রস্রাবের পর সামনে থেকে পেছনে মুছুন। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।

৩. টাইট কাপড় পরা এড়িয়ে চলুন

সিনথেটিক বা টাইট আন্ডারওয়্যার বাতাস চলাচল রোধ করে এবং জীবাণুর জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে। সুতির ঢিলা জামা-কাপড় ব্যবহার করুন।

৪. ইউটিআই হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

যদি প্রস্রাবের সাথে জ্বালাপোড়া ছাড়াও জ্বর, পিঠব্যথা বা ঘন ঘন প্রস্রাবের বোধ হয়, তবে এটি ইউরিনারি ইনফেকশন হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করুন।

৫. কফি ও ঝাল খাবার এড়িয়ে চলুন

কফি, সোডা, ঝাল খাবার এবং অ্যাসিডিক ফল ইউরিনকে আরও জ্বালাময় করে তোলে। জ্বালাপোড়া থাকলে এই খাবারগুলো কিছুদিন বন্ধ রাখুন।

৬. প্রস্রাব আটকে রাখা বিপজ্জনক

বারবার প্রস্রাব আটকে রাখলে তা জীবাণুর প্রজনন বাড়ায়। তাই প্রস্রাব আটকে না রেখে সময়মতো মূত্রত্যাগ করুন।

৭. প্রাকৃতিক উপায়ে স্বস্তি

নারকেল পানি, বার্লি পানি ও ধনিয়া জল প্রাকৃতিকভাবে প্রস্রাবে আরাম এনে জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১-২ গ্লাস করে পান করতে পারেন।

৮. ঘন ঘন যৌন সম্পর্কের পরে সতর্কতা

যৌন সম্পর্কের পরে জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। সম্পর্কের পরে মূত্রত্যাগ এবং নিজেকে পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি। এটি সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

৯. সাবানের ব্যবহার সীমিত করুন

ভ্যাজাইনাল ও আশেপাশের অংশে পারফিউমযুক্ত বা হাই-কেমিক্যাল সাবান ব্যবহার করবেন না। শুধু হালকা গরম পানি দিয়ে ধোয়াই যথেষ্ট।

১০. ঘরোয়া প্রতিকার প্রয়োগের আগে সচেতনতা

অনেকেই ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন, কিন্তু সেগুলো সবার জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে। যদি সমস্যা কয়েকদিনেও না কমে, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

আপনার স্বাস্থ্যের জন্য