খাদ্য নিরাপত্তায় কুক/নিয়োজিত যে কোন ব্যক্তি কোন কাজটি করবেন
খাদ্য নিরাপত্তা শুধু খাবারকে সুস্বাদু করার বিষয় নয়—এটি স্বাস্থ্য সুরক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যারা রান্না, পরিবেশন বা খাবার সংরক্ষণের সঙ্গে জড়িত, তাদের অবশ্যই কিছু মৌলিক নিয়ম মানতে হবে। নিচে বিস্তারিত জানানো হলো একজন কুক বা ফুড হ্যান্ডলারের জন্য কী কী কাজ অপরিহার্য।
১. হাত ধোয়া বাধ্যতামূলক
খাবার প্রস্তুতির আগে এবং পরে সাবান ও পরিষ্কার পানিতে হাত ধোয়া আবশ্যক। বিশেষ করে কাঁচা মাংস, ডিম বা মাছ ছোঁয়ার পর ভালোভাবে হাত ধুতে হবে।
২. পরিষ্কার পোশাক ও এপ্রন পরিধান
রান্নার সময় পরিষ্কার এপ্রন, মাথা ঢাকার টুপি এবং প্রয়োজনে গ্লাভস পরা উচিত। নখ ছোট রাখা এবং কোনো অলংকার পরিহার করা স্বাস্থ্যসম্মত।
৩. কাঁচা ও রান্না করা খাবার আলাদা রাখা
কাঁচা মাংস বা মাছ এবং রান্না করা খাবার কখনো একসাথে রাখবেন না। আলাদা কাটিং বোর্ড, ছুরি ও পাত্র ব্যবহার করতে হবে।
৪. সঠিক তাপমাত্রায় খাবার রান্না
মাংস, ডিম, মুরগি ইত্যাদি সম্পূর্ণভাবে রান্না না হলে ব্যাকটেরিয়া থেকে রোগ ছড়াতে পারে। প্রয়োজন অনুযায়ী থার্মোমিটার ব্যবহার করুন।
৫. খাদ্য সংরক্ষণের নিয়ম মানা
ঠাণ্ডা রাখার প্রয়োজনীয় খাবার ফ্রিজে ৫°C এর নিচে সংরক্ষণ করুন এবং গরম খাবার ৬০°C এর ওপরে রাখুন। পুরাতন খাবারের তারিখ দেখে ব্যবহার করুন।
৬. রান্নাঘর পরিষ্কার রাখা
প্রতিদিন রান্নাঘরের মেঝে, টেবিল, বেসিন এবং যন্ত্রপাতি পরিষ্কার করুন। ময়লা জমলে কীটপতঙ্গ ও ব্যাকটেরিয়া দ্রুত ছড়াতে পারে।
৭. অসুস্থ অবস্থায় রান্না থেকে বিরত থাকা
জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া বা সংক্রামক রোগ থাকলে খাবার তৈরির কাজ থেকে বিরত থাকুন। এতে অন্যদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে।
৮. খাবারের পাত্র ঢেকে রাখা
রান্না হয়ে যাওয়া খাবার ঢেকে রাখুন যাতে ধুলা, মাছি বা অন্যান্য দূষণ না লাগে। পরিবেশনের আগে হাত ধোয়া নিশ্চিত করুন।
৯. অপ্রয়োজনীয় টাচ এড়িয়ে চলা
রান্নার সময় বারবার চুল, মুখ, ফোন বা টাকার সংস্পর্শে এলে পুনরায় হাত ধুয়ে কাজ করতে হবে। খাবারের সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় স্পর্শ দূষণ বাড়ায়।
১০. নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা
খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। পরিবর্তনশীল নিয়ম বা ঝুঁকি সম্পর্কে আপডেট থাকা জরুরি।