গরমে কি করবেন
গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত গরমে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, মাথা ঘোরা, অস্থিরতা কিংবা হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তবে কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললে গরমকেও আরামে পার করা যায়। চলুন জেনে নেই গরমে কিভাবে সতর্ক থাকতে হবে এবং স্বস্তি পেতে কী কী করবেন।
১. প্রচুর পানি পান করুন
● দিনে অন্তত ৮–১০ গ্লাস পানি পান করুন।
● কাঁচা লবণ বা লেবু দিয়ে শরবত পান করলে ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্স ঠিক থাকে।
● খুব গরমে ORS খাওয়াও উপকারী।
২. হালকা এবং সাদা রঙের পোশাক পরুন
● পাতলা, ঢিলেঢালা এবং সুতি কাপড় গরমে আরাম দেয়।
● গাঢ় রঙ গরম টেনে আনে, তাই সাদা বা হালকা রঙ বেছে নিন।
৩. দিনের ঝকঝকে সময়ে বাইরে না যান
● দুপুর ১২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত সূর্যের তীব্রতা বেশি থাকে।
● এই সময় বাইরে বের হলে ছাতা ব্যবহার করুন বা মাথায় কাপড় দিন।
● শিশুরা ও বৃদ্ধদের বাইরে বের হওয়া একেবারে এড়িয়ে চলা উচিত।
৪. ঠাণ্ডা পানিতে বারবার মুখ ও হাত ধুয়ে নিন
● ঘন ঘন মুখ ধুলে শরীর ঠাণ্ডা থাকে।
● চাইলে গোসলের সময় পানিতে কিছুটা রোজ ওয়াটার বা নিমপাতা যোগ করতে পারেন।
৫. হালকা খাবার খান
● তৈলাক্ত ও মসলা জাতীয় খাবার পরিহার করুন।
● বেশি করে ফল, শাকসবজি, দই ও ঠাণ্ডা শরবত খাওয়া ভালো।
● তরমুজ, শসা, আমড়া গরমে বিশেষ উপকারী।
৬. ঘর ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করুন
● জানালায় পর্দা ব্যবহার করুন যাতে রোদ না ঢোকে।
● দরজা-জানালা খোলা রেখে হাওয়া চলাচল নিশ্চিত করুন।
● ঘরে বালতি ভর্তি ঠাণ্ডা পানি রাখলেও কিছুটা ঠাণ্ডা অনুভব হয়।
৭. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন
● গরমে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তাই পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম জরুরি।
● দুপুরে কিছুক্ষণ ঘুমালে শরীর রিফ্রেশ থাকে।
৮. হিট স্ট্রোকের লক্ষণ চিনে রাখুন
● অতিরিক্ত ঘাম, মাথা ঘোরা, বমি ভাব, শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া — এগুলো হিট স্ট্রোকের লক্ষণ।
● এসব উপসর্গ দেখা দিলে সাথে সাথে ছায়া বা ঠাণ্ডা জায়গায় নিয়ে যান এবং পানি দিন।
৯. শিশুরা ও বৃদ্ধদের আলাদা যত্ন দিন
● তারা গরমে বেশি সংবেদনশীল, তাই হালকা জামা, ঘন ঘন পানি ও ঠাণ্ডা খাবার দিন।
● তাদের বাইরে বের হওয়া সীমিত করুন।
১০. গরমের সময় কী এড়িয়ে চলবেন
● কার্বনেটেড সফট ড্রিংক, অতিরিক্ত কফি, চা — এগুলো ডিহাইড্রেশন বাড়ায়।
● দিনের তীব্র রোদে খেলাধুলা বা ভারী কাজ করবেন না।
● সূর্যের রোদে মাথা খালি রাখবেন না।