গলায় মাছের কাটা বিঁধলে কি করবেন
মাছ খাওয়ার সময় হঠাৎ করে গলায় কাঁটা বিঁধে যাওয়া খুবই অস্বস্তিকর ও বিপজ্জনক অভিজ্ঞতা হতে পারে। এটি সাধারণত তীব্র ব্যথা, গিলতে সমস্যা, বা কখনো শ্বাসকষ্টেরও কারণ হতে পারে। নিচে এমন কিছু তাৎক্ষণিক করণীয় এবং সতর্কতা দেয়া হলো যা এই অবস্থায় আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
১. কাশি দিয়ে কাঁটা বের করার চেষ্টা করুন
প্রথমেই চেষ্টা করুন জোরে কাশি দিতে। কখনো কখনো এটি মাছের কাঁটাকে সরে যেতে বা বাইরে চলে আসতে সাহায্য করে।
২. শুকনো ভাত গিলে ফেলুন
হাতের মুঠো করে কিছুটা ভাত নিয়ে চিবানো ছাড়াই গিলে ফেলুন। ভাতের ভার ও আঠালো ভাব কাঁটাকে গলার নিচে ঠেলে দিতে পারে।
৩. কলা খাওয়ার চেষ্টা করুন
একটি মাঝারি সাইজের কলা ভালোভাবে চিবিয়ে অল্প অল্প করে গিলে ফেলুন। কলার নরম ফাইবার কাঁটাকে নিচে নামাতে পারে।
৪. অলিভ অয়েল বা পানিতে ডুবিয়ে রুটি খাওয়া
এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল পান করুন অথবা একটি ছোট রুটি পানিতে ভিজিয়ে গিলে ফেলুন। এটি কাঁটাকে নরম করে গলার নিচে পাঠাতে পারে।
৫. ভিনেগার পান করুন
ভিনেগার বা অ্যাসিডিক কিছু পান করলে কাঁটা নরম হয়ে যেতে পারে। এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে ২ চামচ ভিনেগার মিশিয়ে পান করুন।
৬. গার্গল করুন হালকা গরম পানিতে
হালকা গরম লবণ পানিতে গার্গল করলে গলার টিস্যু আরাম পায় এবং কখনো কখনো কাঁটা নিজেই আলগা হয়ে যায়।
৭. আঙুল বা অন্য কিছু ঢুকিয়ে টানার চেষ্টা করবেন না
যদি কাঁটা গভীরে বিঁধে থাকে, জোর করে আঙুল বা বস্তু ঢুকিয়ে টানার চেষ্টা করবেন না। এতে আরও ক্ষতি হতে পারে বা কাঁটা ভেতরে ঢুকে যেতে পারে।
৮. যদি রক্ত পড়ে বা শ্বাসকষ্ট হয়
যদি গলা থেকে রক্ত পড়ে, শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, বা ব্যথা তীব্র হয়—তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন। অপেক্ষা করা বিপজ্জনক হতে পারে।
৯. ৬ ঘণ্টার বেশি সময় থাকলে ডাক্তার দেখান
যদি সব চেষ্টা সত্ত্বেও কাঁটা না নেমে থাকে এবং ব্যথা বা অস্বস্তি অব্যাহত থাকে, তাহলে দ্রুত একজন ইএনটি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
১০. ভবিষ্যতে সাবধানতা অবলম্বন করুন
● মাছ খাওয়ার সময় ধীরে ও মনোযোগ দিয়ে খান।
● শিশুদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্কতা নিন।
● কাঁটা বাছাই করে মাছ পরিবেশন করুন।